Thursday, September 4, 2025
HomeScrollFourth Pillar | প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিএ পাশ? এমএ পাশ? না ক্লাস...

Fourth Pillar | প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিএ পাশ? এমএ পাশ? না ক্লাস টেন পাশ?

প্রধানমন্ত্রী কোন পরীক্ষা পাশ করেছেন, নাকি করেনইনি, তা কেন গোপন থাকবে?

আমাদের দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরে দেশের অলিতে গলিতে প্রশ্ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিএ পাশ? এমএ পাশ? না ক্লাস টেন পাশ? গণতন্ত্রে নাগরিকের জানার অধিকার তথ্যের অধিকার এক মৌলিক ভিত্তি। দেশের সর্বোচ্চ পদে বসে থাকা মানুষটার যোগ্যতা, তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করার সুযোগ থাকা সেই অধিকারেরই অংশ। কিন্তু যখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বদলে এক দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তথ্যের উপর গোপনীয়তার উঁচু পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়, তখন তা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করে। একজন সাধারণ নাগরিকের তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে করা এক অত্যন্ত সরল আবেদন কীভাবে প্রায় এক দশকের দীর্ঘ বিচারবিভাগীয় লড়াইয়ে পরিণত হল, এবং শেষ পর্যন্ত দেশের উচ্চ আদালত কীভাবে একজন রাষ্ট্রনেতার ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে জনগণের স্বচ্ছতার অধিকারের ঊর্ধ্বে স্থান দিল, সেই গল্প নিছক একটি ডিগ্রির বিতর্ক নয়। এটা আসলে ভারতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তথ্যের অধিকার আইনের ভবিষ্যৎ নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন। পারমাণবিক চুল্লি, সেনাবাহিনীর অবস্থান, তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র, দেশের উগ্রপন্থা নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা, হ্যাঁ এসব তো গোপনই থাকবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোন পরীক্ষা পাশ করেছেন, নাকি করেনইনি, তা কেন গোপন থাকবে? তা কেন রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার জালে আটকে রাখা হবে? আর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তো এমনি এমনি আসেনি, সন্দেহের বীজ প্রথম বোনা হয়েছিল তাঁর নিজেরই বিভিন্ন সময়ে দেওয়া হরেকরকম পরস্পর বিরোধী বয়ানের জন্য।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেছে যে, স্কুলের পর তাঁর আর প্রথাগত শিক্ষা হয়নি, তিনি ঘর ছেড়ে হিমালয়ে চলে গিয়েছিলেন। আবার অন্য ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন যে শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে তিনি করেসপন্ডেন্স কোর্সের মাধ্যমে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তাঁরও আগে যখন তিনি মাত্র একজন মুখ্যমন্ত্রী, তখন রাজীব শুক্লাকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ক্লাস এইটের পরে তিনি আর পড়াশুনোই করেননি। এই অসংলগ্নতা, হিন্দিতে যাকে বলে পাগলপন, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করে। কিন্তু ২০১৪-তে তোলা প্রশ্নের উত্তর আসতে সময় লাগল পাক্কা দু’ বছর। ২০১৬ সালের মে মাসে, এই ধোঁয়াশা কাটাতে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে অমিত শাহ সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর দুটো ডিগ্রির কপি জনসমক্ষে প্রকাশ করে। তাতে তিনি ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ করেছেন এবং কী আশ্চর্য তার আগে তিনি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ-ও পাশ করেছেন। কিন্তু এসব তথ্য পেশ করার সময়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পেশ করা ডিগ্রিগুলিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি, মানে ঘাপলা মানুষের চোখে পড়ে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা ওঠে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির বিষয়টাকে নিয়ে, সার্টিফিকেটে লেখা ছিল ‘Entire Political Science’ বা ‘সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান’। শিক্ষাজগতে এই বিষয়ের নাম নজিরবিহীন। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়েরই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রাক্তন অধ্যাপক জয়ন্তীভাই প্যাটেল জানাচ্ছেন, সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সটার্নাল ছাত্রছাত্রীদের জন্য মার্কশিটে লেখা বিষয়গুলি পড়ানোই হত না। কিন্তু উনি তো কেবল পড়েননি, পাশও করেছেন। কেবল জানা যাচ্ছে না সেই সময়ে তাঁর কলেজের বন্ধুরা কারা ছিলেন? মাস্টারমশাইরা কারা ছিলেন? না এসবের কোনও হদিশ নেই। এছাড়াও, বিএ ডিগ্রিতে দেখা যায়, পাশের বছর ১৯৭৮ বলা হলেও সার্টিফিকেটটা কিন্তু ইস্যু করা হয়েছে ১৯৭৯ সালে। সার্টিফিকেটে নামের বানান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, বিতর্ক তাঁর জন্মতারিখ পর্যন্ত গড়ায়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি জন্মতারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ হলেও, একটা কলেজের রেজিস্টারে তাঁর জন্মতারিখ ২৯ আগস্ট ১৯৪৯ লেখা হয়েছে। যদিও এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয় যে, সেই সময়ে স্কুলে ভর্তির বয়সসীমা পার করার জন্য অনেক অভিভাবকই এরকম করতেন।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | অনিল আম্বানিকে জেলে ঢোকালে মোদি সরকার পড়ে যাবে?

আরও কিছু টেকনিক্যাল প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মূল প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরস্পর বিরোধী অবস্থান। একদিকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রিকে আসল বলে ঘোষণা করেন, তখন অন্যদিকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্কুল অফ ওপেন লার্নিং এক আরটিআই আবেদনের জবাবে জানায় যে, তারা এক বছরের বেশি পুরনো রেকর্ড রাখে না, তাই ১৯৭৮ সালের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো আলাদা আলাদা বিপরীতধর্মী বক্তব্য রহস্যকে আরও গাঢ় করে তোলে। ‘এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স’ কোর্সের অস্তিত্ব বা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড সংক্রান্ত স্ববিরোধিতা— উত্তরহীনই থেকে গেছে। এইসব যখন চলছে তখন ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে নীরজ শর্মা নামে এক আরটিআই কর্মী তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করেন। তিনি কেবল নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রিই দেখতে চাননি, তাঁর আবেদন ছিল ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করা সমস্ত ছাত্রছাত্রীর রোল নম্বর, নাম, বাবার নাম এবং প্রাপ্ত নম্বর সহ সম্পূর্ণ রেকর্ড দেখার অনুমতি দেওয়া হোক। মানে এই আবেদনটা কিন্তু ছিল একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির তথ্যের চেয়েও অনেক বড় বিষয়— এটা ছিল সরকারি রেকর্ডের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের এক প্রচেষ্টা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য দিতে অস্বীকার করলে মামলাটি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (CIC) কাছে পৌঁছয়। দীর্ঘ শুনানির পর, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে CIC এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। কমিশন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের রেকর্ড পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয়তার যুক্তিকে ‘ভিত্তিহীন ও বেআইনি’ বলে খারিজ করে দেয়। কিন্তু স্বচ্ছতার এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগেই, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। যেটা খুব ইন্টারেস্টিং তা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে মামলা লড়তে দাঁড়ান ভারত সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মতো শীর্ষ আইনজীবী। আদালত প্রথম শুনানিতেই CIC-এর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

এর পরের ঘটনাপ্রবাহ আরও সাংঘাতিক। যে তথ্য কমিশনার, শ্রীধর আচারয়ুলু, এই সাহসী রায় দিয়েছিলেন, রায়ের কিছুদিন পরেই তাঁর কাছ থেকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় এক দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। প্রায় সাত বছর ধরে মামলাটা আদালতে বিচারাধীন ছিল, একাধিকবার শুনানি স্থগিত হয়। এই দীর্ঘসূত্রিতা বলে দিচ্ছে যে এটা কেবল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের তার প্রাক্তন ছাত্রের গোপনীয়তা রক্ষার লড়াই ছিল না। এক স্বশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যখন তথ্যের অধিকার আইনের বিরুদ্ধে আদালতে যায় এবং তার হয়ে সওয়াল করার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তারা এগিয়ে আসেন, তখন বোঝা যায় যে রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ব্যক্তিগত তথ্য আড়াল করার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে তথ্য কমিশনার স্বচ্ছতার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার মূল লক্ষ্যই ছিল নির্দিষ্ট কিছু তথ্যকে জনসমক্ষে আসা থেকে আটকানো। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলাটার পক্ষে বিপক্ষে পেশ করা বক্তব্য দেখলে বোঝা যাবে যে মূলত দুটি আইনি নীতি নিয়ে লড়াইটা চলছে, ১) তথ্যের অধিকার ২) ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের আইনজীবীরা তথ্য প্রকাশ না করার পক্ষে একাধিক যুক্তি তুলে ধরছিলেন, যার বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করছিলেন আরটিআই কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান যুক্তি ছিল যে, তারা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত রেকর্ড এক ‘বিশ্বস্ততার সম্পর্ক’ বা Fiduciary Capacity-তে সংরক্ষণ করেন। মানে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বাস করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয় এবং সেই বিশ্বাস রক্ষা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য।
আরটিআই আইনের ৮(১)(ই) ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের তথ্য প্রকাশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর বলা হয় যে, শিক্ষাগত যোগ্যতা একজন ব্যক্তির ‘ব্যক্তিগত তথ্য’। এর প্রকাশ ব্যক্তির গোপনীয়তায় ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ শামিল, যদি না তার সঙ্গে কোনও বৃহত্তর জনস্বার্থ জড়িত থাকে। সলিসিটর জেনারেল আদালতে সাফ জানিয়ে দেন, তথ্যের অধিকার আইন জনগণের ‘সাধারণ কৌতূহল’ মেটানোর জন্য তৈরি হয়নি। আরটিআই কর্মীদের পাল্টা যুক্তি ছিল যে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করার মধ্যে এক বৃহত্তর জনস্বার্থ লুকিয়ে আছে। কারণ, এই তথ্য তিনি নির্বাচনী হলফনামায় ঘোষণা করেছেন এবং ভোটারদের সেই তথ্য যাচাই করার অধিকার থাকা উচিত। তাঁরা আরও বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা ফলাফল কোনও গোপনীয় বিষয় নয়। ঐতিহাসিকভাবে, ফলাফল নোটিস বোর্ডে বা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হত। আজও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করে। তাই এক্ষেত্রে গোপনীয়তার যুক্তি কোনও কাজের কথা নয়।
প্রায় সাত বছরের দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর, দিল্লি হাইকোর্ট অবশেষে তার রায় ঘোষণা করেছে। এই রায়ে আদালত কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ২০১৬ সালের সেই যুগান্তকারী নির্দেশকে খারিজ করে দেয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে রেকর্ড পরিদর্শনের অনুমতি দিতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি শচীন দত্ত তাঁর রায়ে স্পষ্টভাবে বলেন যে, শিক্ষাগত রেকর্ড হল ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ এবং এটি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও ‘অন্তর্নিহিত জনস্বার্থ’ নেই। মানে সরকার চাইলে আমার আপনার বাবা মা ঠাকুরদা ঠাকুমার সমস্ত ডকুমেন্ট দাবি করতেই পারে, না দেখালে পে লোডারে করে সীমান্তের ওপাশে ছুড়ে ফেলে দিতেই পারে, কিন্তু মোদিজির ডিগ্রি এতটাই গোপনীয় যে তা মানুষের সামনে রাখা যাবে না। আমরা জানি উনি কী পাশ, তা বোঝার জন্য ডিগ্রি দেখতে হবে না ওনার রাশি রাশি নিরেট মূর্খের মতো কথাবার্তা, এ প্লাস বি হোলস্কোয়ারের ফর্মুলা শুনলেই বোঝা যায়, সেই কবে রাজীব শুক্লাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই তিনি সত্যিটা বলেছিলেন, তারপর থেকে তা লুকোনোর চেষ্টা করছেন, আর তা করতে গিয়ে মানে ঘোমটা সামনের দিকে টানতে গিয়ে পিছনের কাপড় ওনার অজান্তেই উঠে গেছে। মিথ্যের বিড়ম্বনা হল তা ঢাকতে গেলে আরও বড় চেহারা নিয়ে তা বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই ২০১৪/১৫/১৬ তেই কেউ যদি তাঁকে উদাহরণ দিয়ে বোঝাতেন যে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া আমাদের প্রাণের ঠাকুরের কোনও ডিগ্রি ছিল না তাতে কিচ্ছু এসে যায়নি, দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর সেই অর্থে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না কিন্তু আবুল কালাম আজাদ এক বিদ্বান পণ্ডিত বলেই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, সেসব বোঝালে সম্ভবত তিনি তাঁর এই পড়াশুনো ছেড়ে দেওয়ার কথা লুকোতেন না। কিন্তু সমস্যা হল কে বোঝাবেন, যিনি বোঝাবেন সেই ছোটা মোটাভাইয়ের যোগ্যতাও তো আমাদের জানা।

Read More

Latest News